মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদিকা উচিংনু মার্মা শীলতাহানী করার অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিত নারী প্রতিকার চেয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুজন কান্তি দাশের বিরুদ্ধে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ আলীকদম থানা বরাবরে তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
নিজেকে আলীকদম সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পরিচয়ে লিখিত অভিযোগে উচিংনু মারমা বলেন, সুজন কান্তি পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে উচিংনু মারমার বাড়ী গিয়ে মদ্যপবস্থায় (মদ পান করে মাতাল থাকা অবস্থায়) উচিংনু মারমাকে কিছু টাকা দিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। সেবার কোনো মতে সুজনের শ্লীলতা হানীর হাত থেকে রক্ষা পান তিনি। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে পরে বান্ধবী নুর নাহারকে দিয়ে উচিংনুকে অপহরণের ফন্দি করে সুজন কান্তি দাশ। সুজনের এই কাজে রাজি না হয়ে উচিংনুকে সতর্ক করে দেয় নুর নাহার।
নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরে উচিংনু মারমা বলেন, সুজন কান্তি দাশ উচিংনু মারমার ছেলে, বাবা ও তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা ও তাকে আলীকদম থেকে বদলী করার জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন উচিংনু মারমা।
উচিংনু মারমার শ্লীলতা হানী চেষ্টা ও অপহরণের ফন্দির বিষয়ে জানতে চাইলে সুজন কান্তি দাশ সাংবাদিককে বলেন, এই সব কিছু বিশ্বাস করবেন না ! সবই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। উচিংনু মারমা একজন চরিত্রহীন মহিলা। তার অপকর্মের ব্যাপারে পুরো উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ লোকজন সবাই জানেন। মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক কথা না শুনে সত্যতা যাচাই করে প্রকৃত সত্যটা তুলে ধরার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। একটি মহল উচিংনুকে দিয়ে এই অভিযোগ দাঁড় করিয়ে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।
এই বিষয়ে আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাইদুর রহমান বলেন, আলীকদম ইউএনও অফিস থেকে এই অভিযোগটি তদন্তের জন্য থানায় প্রেরণ করেছে। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকারত ! তাই সতর্কতার সাথেই তদন্ত করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: